ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, চার্জ ও সুবিধা সম্পর্কে যারা জানতে চান, তারা হয়তোবা ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করতে চাচ্ছেন বা করবেন। এই সকল বিষয়ে জানার জন্য অনেকে গুগলের মাধ্যমেও সার্চ করে থাকে। তো যাদের এই সকল বিষয়ে জানার প্রয়োজন তো সেই ক্ষেত্রে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
ক্রেডিট কার্ড হলো জীবনের একটি অন্যরকম পার্টনার হিসেবে কাজ করে যেমন কোন বিপদে-আপদে পড়লে ক্রেডিট কার্ডের ভিতরে টাকা থাকলে সেই টাকা যে কোন একটি স্থানীয় এটিএম থেকে বের করা যায় খুব সহজেই। তো আপনারা যারা ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই পোস্টটি সম্পন্ন করে সে সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
তো যারা ট্রাস্ট ব্যাংক এ ক্রেডিট কার্ড করতে চাচ্ছেন তাদের কিন্তু অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত যে ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড করতে হলে এর যোগ্যতা কিরকম থাকা প্রয়োজন। তো তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড করতে এর যোগ্যতা কিরকম থাকতে হবে।
» ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে তো সেই একাউন্ট খুলতে কিন্তু সর্বনিম্ন বয়স ১৮ হতে হবে এবং সর্বোচ্চ বয়স ৫৫ বছর লাগবে, তার ওপরে বা নিচে বয়স হলে কিন্তু ট্রাস্ট ব্যাংকে একাউন্ট করা সম্ভব নয়। বয়স বিষয়টি কিন্তু সব ব্যাংক একাউন্ট এর ক্ষেত্রেই খুবই জরুরী একটি বিষয়।
» ট্রাস্ট ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পর কমপক্ষে ১ বছর সেই একাউন্টের বয়স হতে হবে, তাহলেই ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড করার আবেদন করা যাবে।
» তারপরে আবেদনকারীর আয়ের উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকতে হবে।
» তারপরে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এবং চাকরির ক্ষেত্রে সেলারি সীটের একটি তথ্য থাকতে হবে।
» এবং সর্বশেষ যে বিষয়টি ক্রেডিট কার্ড খোলার ক্ষেত্রে একটি পয়েন্ট লাগে, সেই পয়েন্টের জন্য স্থানীয় একটি ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আলোচনা করে নিলেই সেই পয়েন্ট পাওয়া যায়।
তো তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার জন্য কি যোগ্যতা সম্পন্ন থাকতে হবে। আপনারা যদি ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে উপরের দেওয়া সকল তথ্যের কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস অবশ্যই থাকতে হবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার নিয়ম
ট্রাস্ট ব্যাংক বা যেকোন ব্যাংকে যদি কোন ক্রেডিট কার্ড করতে যান তাহলে কিন্তু সে কার্ড পাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। তো যাই হোক আপনারা যদি ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পেতে চান তাহলে নিচে দেওয়া এই নিয়মগুলো অবশ্যই ফলো করে তারপর একাউন্ট খুলতে যাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি।
• ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
• অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য স্থানীয় কোন ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আবেদন করতে হবে।
• আর যদি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়েও আবেদন করতে পারবেন।
• জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
• পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কপি রঙিন ছবি লাগবে।
• নমিনির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি লাগবে।
• ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি এবং চাকরির ক্ষেত্রে স্যালারি সিটের ফটোকপি লাগবে।
• ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে ট্রাস্ট ব্যাংকের একাউন্টের সর্বনিম্ন ১ বছরের স্টেটমেন্ট লাগবে।
• এবং সর্বশেষ হচ্ছে টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
আরও জানতে পড়ুন,
» ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, চার্জ ও সুবিধা ?
তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে ট্রাস্ট ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড করার জন্য কি কি নিয়ম বা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। তো আপনারা যদি ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে ওপরের দেওয়া কাগজপত্র অবশ্যই থাকতে হবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চার্জ কত
ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চার্জ কত এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। এই বিষয়ে যারা এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তারা কিন্তু খুব ভালো করে জানেন এছাড়াও ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের লোকের কাছ থেকে যদি তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই বিষয়ে জানতে পারবেন। এতটুকুই বলা যায় যে এই ক্রেডিট কার্ডের প্রথম বছরে কোন চার্জ কর্তন করা হয়না। কিন্তু পরবর্তী বছর থেকে সর্বনিম্ন বাৎসরিক চার্জ ৫০০ টাকা কেটে থাকে। এ বিষয়টি আসলে ক্রেডিট কার্ডের টাকা লেনদেনের উপর নির্ভর করে যেমন সর্বনিম্ন চার্জ ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয় সর্বোচ্চ এখন ২,০০০ হতে পারে আবার ৩,০০০ হতে পারে।
ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা
ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন কিন্তু জানেন না যে এই ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের কি কি সুবিধা রয়েছে। তো আপনি একটি কার্ড ব্যবহার করেন তো সেই কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে কেমন হয়। তো তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের কি কি সুবিধা রয়েছে।
∗ ট্রাস্ট ব্যাংকের সুবিধার দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো দিক হলো আজীবন বিনামূল্যেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
∗ সরকারি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্ষেত্রে এই কার্ডের ফি দিতে হবে ৫০%।
∗ ইএমআই কার্ডের মাধ্যমে যদি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিতে পারেন তাহলে ০% সুদ অর্থাৎ কোন সুদ দিতে হবে না।
∗ এই কার্ডের নগদ এটিএম কার্ড অগ্রিম সুবিধা রয়েছে।
∗ বিশ্বের যেকোনো এটিএম থেকে এই কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
∗ অনলাইন এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা কোন সার্ভিস এর জন্য এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোন সুদ ছাড়াই পেমেন্ট করা যাবে।
সর্বশেষ কিছু কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে যে সকল তথ্য আছে সেই সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো এরকম আরো যদি কোন প্রয়োজনীয় পোস্ট পেতে চান তাহলে এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন।