কুয়েত হল আরব দেশগুলোর মধ্যে শান্তশিষ্ট ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই দেশটিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলো থেকে এবং কি আরো বিভিন্ন উপজাতির মানুষ প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ লোক কাজের জন্য গিয়ে থাকে। তো যারা কুয়েত যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন বা যেতে চাচ্ছেন তাদের এ বিষয়টি জানা খুবই প্রয়োজন। তো আপনারা যারা কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, কুয়েত কোন ভিসার দাম কত বা কোন ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে।
অনেকেই আছেন যারা কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। তারা এ পোষ্টের মাধ্যমে কুয়েত সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন যা আপনাদের কুয়েত যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। আরেকটি বিশ্বাস কথা হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে টাকার মান বেশি হচ্ছে এই কুয়েতে। তো যাই হোক তাহলে অনুরোধপূর্বক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন কুয়েত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, এই বিষয়টি লিখে অনেকেই সার্চ করে থাকেন। আসলে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়টি নির্ভর করে ভিসার উপরে বা আপনি কোন কাজের উপর কুয়েত যেতে চাচ্ছেন, কারণ একেক ভিসার ডিমান্ড একেক রকম হয়ে থাকে। কাজেরও অনেক তফাৎ বা বেতনের দিক দিয়েও অনেক কম বেশি হয়ে থাকে। তাহলে সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে আগে জেনে নেয়া উচিত কুয়েতে কোন কোন ভিসার মাধ্যমে বর্তমানে যাওয়া যায় বা কোন কোন ভিসা চালু রয়েছে।
তবে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে সেটি বলা যায় আনুমানিক ভাবে যে এই ৬,২০,০০০ টাকা থেকে ৭,৫০,০০০ লক্ষ টাকা এর মত লাগে। তবে যদি সরাসরি দেশ থেকে কুয়েত কোন এম্বাসির মাধ্যমে যেতে পারেন অর্থাৎ কোন দালাল ছাড়া তাহলে অনেক কম টাকার মধ্যে কুয়েত যেতে পারবেন। কিন্তু যদি কোন দালালের মাধ্যমে যান তাহলে অবশ্যই বেশি টাকা লাগবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই কুয়েতে কোন ভিসার দাম কত টাকা হয়।
কুয়েত কোন ভিসার দাম কত
বর্তমানে কুয়েত বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে লোক নিচ্ছেন কুয়েত সরকার। তো যারা কুয়েত যেতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত যে বর্তমানে কুয়েত কোন কোন ভিসার মাধ্যমে লোক নিয়ে থাকে। তারপর না হয় জানা যাবে যে কুয়েত কোন ভিসার দাম কত। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক যে বর্তমানে কুয়েত কোন কোন বিষয়ে লোক নিয়ে থাকে।
- ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা,
- ড্রাইভিং ভিসা,
- রেস্টুরেন্ট ভিসা,
- টুরিস্ট ভিসা,
- ক্লিনার ভিসা,
- কোম্পানি ভিসা,
- ফ্যাক্টরি ভিসা।
আরো পড়ুন,
» কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত ?
তাহলে উপরে দেখতেই পাচ্ছেন যে বর্তমানে কোন কোন ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যাওয়া যায়। কুয়েতের কোন বিষয় যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে জানার আগে আমি আরেকটি কথা আপনাদের মাঝে বলতে চাই উপরে যেই কাজের ভিসা গুলো দেখতে পাচ্ছেন এ সকল ভিসার মধ্যে যদি কোন কাজের ভিসার উপর ভালো অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কোন কথা চিন্তা না করে সেই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। কারণ অভিজ্ঞ লোকদের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন কুয়েতের লোকেরা। তাহলে এখন নিচ থেকে দেখে নিন কোন কোন ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যেতে টাকা লাগে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এর মত।
ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যেতে টাকা লাগে ৬ লক্ষ্য টাকা থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এর মত।
রেস্টুরেন্ট ভিসার মাধ্যমে কুয়েত যেতে টাকা লাগে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এর মত।
ক্লিনার ভিসা, কোম্পানি ভিসা ও ফ্যাক্টরি ভিসায় কুয়েত যেতে টাকা লাগে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা এর মত।
কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে
কুয়েত যেতে বয়স কত লাগে এ বিষয়ে অনেকেই সার্চ করে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে। কুয়েত যেতে বর্তমানে বয়স লাগে সর্বনিম্ন ২১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত। তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন সর্বনিম্ন কত বয়স এবং সর্বোচ্চ কত বয়স হলে কুয়েত যাওয়া যায়। তো আপনারা যারা ২১ বছরের নিচে কুয়েত যেতে চাচ্ছেন তারা কুয়েত যাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে পারেন কারণ কোনভাবে ২১ বছরের নিচে বয়সিদের কুয়েত যেতে দেওয়া হয় না বা কোন ভিসায় এপ্লাইও করা যায় না।
সর্বশেষ কিছু কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি যে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, কোন ভিসার মাধ্যমে যেতে কত টাকা লাগে বা আরো কুয়েতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এরকম আরো বিভিন্ন দেশের বা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।