বর্তমানে কম বেশি আমাদের সবারই কিন্তু কোন না কোন ইঞ্জিন চালিত গাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জানতে চান যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে এবং কি এই সকল বিষয়ে জানার জন্য গুগলের মাধ্যমে সার্চও করে থাকেন। তো যাই হোক আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো রয়েছে সেই সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে আরেকটি বিশেষ কথা হচ্ছে যে যদি নিজেই করতে চান তাহলে একরকম টাকা লাগবে আর যদি কোন দালালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আরেক রকম টাকা লাগবে। অনেকেই আছেন যারা কোন প্রকার সমস্যা ফেস না করে দালালের মাধ্যমে এ ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকে। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচ থেকে দেখে নিন আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আগে আপনাদের জানতে হবে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র বা সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা কত লাগে এ সকল বিষয়ে। কারণ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র বা শিক্ষাগত যোগ্যতা কত লাগে তাহলে কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব না। তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানা কিন্তু খুবই জরুরী।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে সর্বনিম্ন ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট লাগবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে সকল কাগজপত্র গুলো থাকা প্রয়োজন যেমনঃ এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কপি সাদা ছবি থাকতে হবে, মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে, বর্তমান ঠিকানার গ্যাস বিদ্যুৎ পানি বিলের রশিদ থাকতে হবে এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তো তাহলে জানতে পেরেছেন যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কি কি কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন।
এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক, ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে ৩ ধরনের করা যায় একটি হচ্ছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, আরেকটি হল অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স। এখন এই ৩ রকমের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মধ্যে যেকোনো একটি লাইসেন্স করতে হবে। হয়তো পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আর না হয় অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স তা না হলে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাহলে চলুন এখন এই ৩ রকমের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
• পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ৫ বছরের মেয়াদের হয়ে থাকে এবং এই লাইসেন্সের ফি হচ্ছে ২,৪৮৭ টাকা।
• অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ১০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে এবং এই লাইসেন্স ফি হচ্ছে ৪,২১২ টাকা।
• আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফি হচ্ছে ৫,৫০০ টাকা।
আরও জানতে পড়ুন,
» ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে। পেশাদার ও অপেশাদার ?
তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত টাকা লাগে। তো আপনারা যেই ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন সেই অনুযায়ী কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফি তেমনি লাগবে। আশা করি এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চান। তো সেই ক্ষেত্রে বলা যায় যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কয়েকটি পরীক্ষা দিতে হয়, সে পরীক্ষার কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেমন প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, তারপরে মোটরবাইক দিয়ে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, তারপরে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সর্বশেষ কাজটি হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। এই সকল কাজগুলো একদিনের মধ্যেই শেষ হয়।
যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ৭-১০ দিন পরে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার কার্ড পেয়ে যাবেন তারপর সকল জায়গায় গাড়ি চালানো যাবে। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড পেয়ে সর্বনিম্ন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মত সময় লাগে। তাহলে দেখতে পাচ্ছেন যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে।
সর্বশেষ কিছু কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি করে থাকেন তাহলে আশা করি জানতে পেরেছেন যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে। তো আপনাদের যদি এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্টের প্রয়োজন হয় তাহলে এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।