ওমান যেতে কত টাকা লাগে ও কোন ভিসার দাম কত ?

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক লোক বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে ওমান গিয়ে থাকেন। ওমান সরকার প্রতি বছর তার দেশে বিভিন্ন কাজের জন্য বিশ্বের সকল দেশ থেকেই অনেক শ্রমজীবী লোক নিয়ে থাকেন। তো যারা ওমান যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন বা যেতে চাচ্ছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি যে আপনাদের যদি ওমান যাওয়ার কোন প্ল্যান থাকে তাহলে ওমান সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।

অনেকেই আছেন যারা ওমান যেতে কত টাকা লাগে, ওমান কোন ভিসার দাম কেমন, ওমান যেতে কি কি লাগে বা মানে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে এ সকল বিষয়ে সার্চ করে থাকেন এগুলোর তথ্য জানার জন্য। তো আশা করি এই পোস্টটি যদি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে ওমানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্ধান পেয়ে যাবেন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং জেনে নিন আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।

ওমান যেতে কত টাকা লাগে 

ওমান যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে জানার আগে, আগে আপনাদের বুঝে নিতে হবে যে আপনি কোন কাজের উপর ওমান যেতে চাচ্ছেন এবং সেই কাজগুলোর উপর ওমানে যাওয়া যায় কিনা বা ভিসা আছে কিনা সে বিষয়ে জেনে নেওয়া বেশি জরুরি। বর্তমানে ওমানে যে ভিসা গুলো রয়েছে সেগুলো হল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা। তো আপনারা এই ভিসা গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ভিসার মাধ্যমে ওমান যেতে পারেন।তবে উপরে যে ভিসা গুলো দেখতে পাচ্ছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি ওমান যান তাহলে খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা এর মত।

ওমান কোন ভিসার দাম কত

উপরে দেখতে পাচ্ছেন যে ওমান কোন কোন ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। তো তাহলে যদি এ সকল ভিসার মাধ্যমে ওমান যেতে চান তাহলে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে ওমানের কোন ভিসায় কত টাকা লাগে এবং বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। আপনারা যদি ওমানে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা রয়েছে বা কোন ভিসার ডিমান্ড কিরকম এ সকল বিষয়ে না জানা থাকলে আপনাদের নিজেদেরই সমস্যা হতে পারে।

তাহলে ওমান যাওয়ার জন্য যে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন, সে সকল তথ্য জেনে শুনে যাওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের আজ বলে। তো যাই হোক আর সময় নষ্ট না করে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক যে ওমানের কোন ভিসার দাম কত টাকা।

ওমান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত 

আপনারা উপরে আগেও দেখেছেন যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ওমান যেতে সবচেয়ে টাকা বেশি লাগে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা এর মত। এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কয়েকটি কাজ রয়েছে সেগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে যেমন ড্রাইভিং, ক্লিনার, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, কৃষি কাজ ও ইলেকট্রিশিয়ান। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এই কাজগুলোর বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যদি আপনাদের এই কাজগুলোর উপর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে এই সকল ভিসায় ওমান যেতে পারেন।

ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার দাম কত 

টুরিস্ট ভিসায় যদি ওমান যেতে চান তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা এর মত লাগবে। তবে এই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকে মাত্র ৩মাস, এই তিন মাসের মধ্যে যদি আপনি কোন কাজ পেয়ে যান তাহলে ভালো তা না হলে সমস্যা হয়ে যাবে এবং কি কাজ না পাওয়ার কারণে নিজ দেশে ফেরত যা লাগতে পারে। তা আপনারা যদি চান সেটা আপনাদের ইচ্ছা অনুযায়ী টুরিস্ট ভিসায় ওমান যেতে পারেন।

ওমান স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত 

যদি স্টুডেন্ট বা ফ্যামিলি ভিসায় ওমান যেতে চান তাহলে টাকা লাগবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত লাগবে। তো আপনারা যারা স্টুডেন্ট বা ফ্যামিলি ভিসায় ওমান যেতে চান তারা চাইলেই যেতে পারেন, সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের উপর নির্ভর করে। তবে আরেকটা কথা হচ্ছে যে যদি কেউ স্টুডেন্ট ভিসায় মন যেতে চান তাহলে ভালই হবে কারণ, ওমানে পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু কাজও করা যায়। তাহলে যদি স্টুডেন্ট ভিসায় ওমান গিয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি কাজও করা যায় তাহলে কিন্তু খুবই ভালো একটা বিষয়।

সর্বশেষ কিছু কথাঃ  

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আশা করি যে ওমানের কোন ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে, কোন কাজের বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বা ওমান যেতে কত টাকা লাগে এ সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তো এরকম আরো প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য বিভিন্ন দেশের পোস্ট পেতে এই সাইটটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Leave a comment