ইউরোপের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো লন্ডন, যে দেশটিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোক যাওয়ার জন্য মহিয়া হয়ে আছেন। আবার অনেকের তো লন্ডন যাওয়া স্বপ্নের মত, তো যাই হোক বর্তমান সময়ে লন্ডন কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজের শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছেন লন্ডন সরকার। তো আপনারা যারা লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন বলে ভাবছেন। তাদের কিন্তু অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত যে সকল তথ্যগুলো রয়েছে সেই সম্পর্কে।
বাংলাদেশ থেকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার জন্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো রয়েছে যেমন লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত, লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি কি ও লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো। এই সকল তথ্যগুলো জানার জন্য পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং জানুন।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
অনেকেই হয়তো জানেন লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আবার হয়তো অনেকেই জানেন না। লন্ডন হচ্ছে এমন একটি দেশ যে দেশে সাধারণ কোনো কাজের ভাষার মাধ্যমে যেতেও অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয় এবং পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে। তো যাই হোক লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে চলুন নিচ থেকে জেনে নেওয়া যাক।
• ইঞ্জিনিয়ারিং,
• বিজ্ঞানী,
• শিক্ষক,
• প্রকৌশলী,
• গ্রাফিক্স ডিজাইন,
• ডাক্তার,
• শেফ,
• হোটেল বা রেস্টুরেন্ট কর্মী,
• নির্মাণ কাজ,
• কৃষিকাজ ইত্যাদি।
আরও জানতে পড়ুন,
তো উপরে যে কাজগুলো দেখতে পাচ্ছেন এই কাজগুলোই হচ্ছে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে রয়েছে। তো এই কাজগুলোর মধ্যে যদি কোন কাজের উপর আপনাদের অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই কাজের ভিসার মাধ্যমে লন্ডন যেতে পারেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন, এই বিষয়টি অনেকেই লিখে সার্চ করে থাকেন। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন দুটি জিনিস কিন্তু একই। তো আপনারা উপরে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে যে সকল তথ্য দেখতে পেরেছেন সেই বিষয়টির মানেই হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লন্ডন। লন্ডনের বর্তমানে যে কাজগুলো চাহিদা রয়েছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে সে সকল কাজ সম্পর্কে আরো কিছু জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং জানুন।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে লন্ডন যাওয়ার জন্য কিন্তু ওয়ার পার পারমিট ভিসার দাম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বর্তমানে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যেকোনো কাজের মাধ্যমেই যান না কেন এতে ভিসার দাম পড়বে যাবতীয় সকল খরচ সহ প্রায় ৬,২০,০০০ টাকা থেকে ৮,৫০,০০০ টাকা এর মত। এক্ষেত্রে আবার হয়তো ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে ভিসার ক্যাটাগরির উপর।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই কিন্তু গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। তো যারা লন্ডন যেতে যাচ্ছেন বা যাবেন তাদের কিন্তু এ বিষয়টি জানাও প্রয়োজন। তো তাহলে চলুন নিচ থেকে দেখে নেওয়া যাক বর্তমানে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়।
» সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে বয়স, সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
» তারপর যেটি বিশেষ প্রয়োজন সেটি হচ্ছে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
» শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও IELTS স্কোর যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
» ইংরেজি ভাষার উপর মোটামুটি ভালই যোগ্যতা থাকতে হবে।
» এবং যে কাজের ভিসার মাধ্যমে যাবেন সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে বর্তমানে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা সম্পন্ন থাকতে হবে। এ সকল যোগ্যতা সম্পন্ন না থাকলে কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সম্ভব নয়।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে
অনেকেই জানতে চান যে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস লাগে। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার জন্য কিন্তু এ বিষয়টি জানাও প্রয়োজন। তো আপনারা যারা এ বিষয়টি জানতে চান বা জানা প্রয়োজন তারা চাইলে নিচ থেকে এই সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
» সর্বনিম্ন মেয়াদ সম্পূর্ণ ৬ মাসের একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
» জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
» পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কফি রঙিন বা পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা ছবি লাগবে।
» বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
» মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট লাগবে।
» কোভিট-১৯ এর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লাগবে।
» সর্বনিম্ন এক বছরের ব্যাংক একাউন্টের একটি স্টেটমেন্ট লাগবে।
সর্বশেষ কিছু কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত যে সকল তথ্যগুলো রয়েছে, সেই সকল তথ্য সম্পর্কে এই পোস্টের মধ্য থেকে জানতে পেরেছেন। তো আপনাদের যদি এরকম আরো বিভিন্ন দেশের তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।