দুবাই হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম পর্যটক দেশগুলোর মধ্যে একটি, যে দেশটিতে প্রায় প্রতিবছর হাজার হাজার লোক বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে থাকেন। তবে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে প্রায় কয়েক বছর বাংলাদেশ থেকে কোন শ্রমিক দুবাই সরকার কোন কাজের জন্য নেয়নি, বর্তমানে কিছু কিছু কোম্পানিতে লোক নেওয়া শুরু করেছে এবং সামনে আরো বিভিন্ন কাজের ভিসার মাধ্যমে লোক নেবে দুবাই সরকার। তবে আপনারা যে ভিসার মাধ্যমেই যেতে চান না কেন, সে ভিসার কাজের উপর প্রশিক্ষণ সনদ নিয়ে তারপর যাওয়া যাবে। আর যদি এই সনদের পাশাপাশি ওই কাজের উপর দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আরো বেশি ভালো হবে কারণ দুবাই সরকার যে লোকগুলো নিতে চায় এর মধ্যে সবগুলো লোকের দক্ষতা সম্পূর্ণ লোক নিবেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে দুবাই সরকার যে শ্রমিক গুলো নিবেন তাদের সবারই প্রশিক্ষণ সনদ এবং দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে অবশ্যই। তো যাই হোক যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন তাহলে আশা করি যে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে দুবাই কোন ভিসার বেতন কত টাকা এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পরুন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচ থেকে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিন।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বিশ্ব বাজারের অবস্থা একটু নিম্ন হওয়ার কারণে ও করোনা মহামারীর কারণেও সকল দেশের ভিসার দাম অনেক বেশি। তো সেই ক্ষেত্রে দুবাই যে কাজের ভিসা গুলো রয়েছে সে সকল কাজের ভিসার দাম একটু বেশি। দুবাই হল একটি পর্যটক কেন্দ্রীয় দেশ তাই দেশটিতে বর্তমানে প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে সেই ক্ষেত্রে অনেক কাজের ভিসার মাধ্যমে অনেক শ্রমিক নিবেন দুবাই সরকার। তো যাই হোক বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে মোট খরচ হবে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো।
আবার যদি দুবাইতে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যান তাহলে খরচ হবে মাত্র ১ লক্ষ ০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হল এই ভিসার মেয়াদ মাত্র ৩ মাস এই ৩ মাসের মধ্যে যদি কোন কাজ না পান তাহলে নিজের দেশে ফেরত চলে যেতে হবে। তো এ সকল ভিসার জন্য সম্পূর্ণ কিছু নির্ভর করে আপনাদের নিজের উপর যে আপনারা কে কোন ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে চান।
দুবাই কোন ভিসার বেতন কত
ডুবাই কোন ভিসার বেতন কত টাকা, দুবাই যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে দুবাই বর্তমানে কোন কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে এবং কোন ভিসার বেতন কত টাকা। আবার সেই কাজগুলোর উপর যদি আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে এতেও আপনাদের নিজেরই সমস্যা হতে পারে। তো যাই হোক তাহলে চলুন আগে দেখে নেওয়া যাক যে দুবাই বর্তমানে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে। কন্সট্রাকশন, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং, কম্পিউটার অপারেটর, মসজিদ ক্লিনার, ডেলিভারি বয়, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট, সিকিউরিটি গার্ড ও রোড ক্লিনার। তাহলে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে কোন কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে বর্তমানে দুবাইতে। এখন দেখে নেওয়া যাক যে কোন ভিসার বেতন কত টাকা।
দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
যদি দুবাই ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই জানতে চাইবেন যে দুবাই ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত টাকা। দুবাই যদি একজন লোক ড্রাইভিং ভিসায় যায় তাহলে এর বেতন সর্বনিম্ন ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এরমধ্যে হয়ে থাকে। আবার এর থেকে বেশিও বেতন হয়ে থাকে। ড্রাইভিং ভিসার ক্ষেত্রে দুবাই আপনাদের অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং এ ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে দুবাই ড্রাইভিং ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
দুবাই হোটেল ভিসার বেতন কেমন হয়ে থাকে এ বিষয়ে অনেকেই সার্চ করে থাকেন। আর যারা হোটেল ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত এই ভিসার বেতন কি রকম হয়ে থাকে। দুবাইতে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কাজ এর সময় একটু বেশি সময় ধরে করতে হয় অর্থাৎ ডিউটি একটু বেশি করতে হয় কিন্তু অতটা পরিশ্রমের কাজ নয় শুধু সময় একটু বেশি দিতে হয়। ডুবাই বর্তমানে হোটেল ভিসার বেতন দিয়ে থাকে ৩৮ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার টাকা এর মত।
দুবাই ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক এ কাজগুলোর উপর যদি অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারেন, কারণ বর্তমানে দুবাইয়ে এই ভিসার কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং শ্রমিক ডিমান্ড ও খুবই ভালো। এই কাজের বেতন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৮৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এর মত হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এই ইলেকট্রিক ভিসার কাজের বেতনের ডিমান্ড কেমন ও বর্তমান চাহিদা কি রকম।
দুবাই ক্লিনার ভিসা বেতন কত
দুবাই হল একটি পর্যটক কেন্দ্রীয় দেশ তাই দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন লোকের যাতায়াত রয়েছে সেই ক্ষেত্রে বর্তমানে দুবাইয়ে ক্লিনার ভিসার ডিমান্ডও প্রচুর রয়েছে। তবে এই ক্লিনার ভিসার মধ্যে যে কাজগুলো রয়েছে সেই কাজের চাহিদা বেশি কিন্তু বেতন অতটা বেশি নয়। দুবাই ক্লিনার ভিসার বর্তমান বেতন দিয়ে থাকে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা এর মত। তবে এই ক্লিনার কাজ গুলোর মধ্যে যে সকল কাজগুলো রয়েছে সে সকল কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে দুবাইয়ে, তো যারা স্বল্পশিক্ষিত তারা চাইলে এই ভিসার মাধ্যমে ডুবাই যেতে পারেন।
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
উপরে হয়তো অবশ্যই দেখেছেন যে কোন ভিসার বেতন কেমন, তো যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী বা যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনো ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে দুবাইত অভিজ্ঞ লোকদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন দুবাই সরকার, তাহলে আপনারা উপরে যে ভিসা গুলো দেখেছেন সেই ভিসা গুলোর মধ্যে যদি দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সেই ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারেন এতে আপনাদেরই ভালো হবে। এতে সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজারের উপরে পাওয়া যাবে আর যদি কোন দক্ষতা না থাকে তাহলে কোন দক্ষতা ছাড়াই যে ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাওয়া যায় সে সকল ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারেন।
সর্বশেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি এই পোষ্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আশা করি দুবাই যেতে কত টাকা লাগে বা কোন ভিসার বেতন কত টাকা এবং কোন কাজের চাহিদা কেমন এ সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তো আপনাদের যদি আরও বিভিন্ন দেশের এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রয়োজন হয় তাহলে এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন বিভিন্ন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।