১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ও কি কি লাগে ২০২৫

বর্তমান সময়ে খুব সহজেই ঘরে বসেই সবাই ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। আবার এই বিষয়টি অনেকেই জানেন না যে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট অর্থাৎ ই-পাসপোর্ট করতে হয়।তো সেই ক্ষেত্রে অনেকেই জানতে চান যে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ও ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগে। তো এই পোস্টের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে সকল তথ্যগুলো রয়েছে সে সকল বিষয়ে তুলে ধরা হবে। এই সকল তথ্যগুলোর অনুসন্ধান পেতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেন।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে 

যারা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে জানতে চান। তারাই কিন্তু এই পোস্টটি পড়তে চাইবেন, তো যাই হোক ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য কত টাকা গুনতে হবে। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ক্ষেত্রে ২ ধরনের টাকার এমাউন্ট লাগে, কারণ এই পাসপোর্ট এর একটি হচ্ছে ৪৮ পৃষ্ঠা এর পাসপোর্ট এবং আরেকটি হচ্ছে ৬৪ পৃষ্ঠা এর পাসপোর্ট। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন দুই রকমের টাকার এমাউন্ট কেন লাগবে।

এই ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট এর ৪৮ পৃষ্ঠা ও ৬৪ পৃষ্ঠার যে পাসপোর্ট রয়েছে সেগুলোতে রেগুলার ডেলিভারি ও ইমারজেন্সি ডেলিভারির দামের বিষয় কিন্তু আবার আলাদা নির্ধারণ করা রয়েছে। তো তাহলে চলুন এখন এই ২ ধরনের ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর জন্য ৪৮ পৃষ্ঠা এর রেগুলার ডেলিভারি ও ইমারজেন্সি ডেলিভারি এবং ৬৫ পৃষ্ঠা এর রেগুলার ডেলিভারি ও ইমার্জেন্সি ডেলিভারির জন্য কত টাকা লাগবে সে বিষয়ে নিচ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

• ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠা এর রেগুলার ডেলিভারির জন্য ৫,৭৫০ টাকা লাগবে আর ইমারজেন্সি ১৪ দিনের ডেলিভারির জন্য ৮,০৫০ টাকা লাগবে এবং ইমারজেন্সি ৭ দিনের ডেলিভারির জন্য ১০,৩৫০ টাকা লাগবে। 

• ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠা এর রেগুলার ডেলিভারির জন্য ৮,০৫০ টাকা লাগবে এবং  ইমার্জেন্সি ডেলিভারির জন্য ১০,৩৫০ টাকা লাগবে এবং ইমারজেন্সি ৭ দিনের ডেলিভারির জন্য ১৩,৮০০ টাকা লাগবে। 

আরো জানতে পড়ুন,

» ই-পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৫। ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক ?

তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ৪৮ পৃষ্ঠা ও ৬৪ পৃষ্ঠা এর নরমাল ডেলিভারি ও ইমারজেন্সি ডেলিভারির জন্য কি রকম টাকা লাগবে। এখন আরেকটি বিশেষ কথা না বললেই নয় কথাটি হচ্ছে যে, উপরে আপনারা যে ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট এর যে মূল্য গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হচ্ছে সরকারি রাজস্ব বাজেটের টাকা। এখন এই ই-পাসপোর্ট যদি নিজে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে করতে পারে তাহলে উপরের দেওয়া যে টাকার মূল্য সেই টাকাই লাগবে। আর যদি আপনারা কোন দালালের মাধ্যমে এই ই-পাসপোর্ট করে থাকেন তাহলে অনেক টাকা বেশি লাগতে পারে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 

অনেকেই জানতে চান যে ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগে। কেউ জানতে চান বা নাই জানতে চান যদি এই ই-পাসপোর্ট কেউ করতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই জানতে হবে যে, সেই ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে। না জানা থাকলে হয়তো বা আপনাদের নিজেদেরই সমস্যায় পড়তে হবে। তো তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিচ থেকে দেখে নেওয়া যাক ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে।

• সর্বপ্রথম যেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন লাগবে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। 

• তারপরে জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আই ডি কার্ড এর ফটোকপি লাগবে। 

• তারপর ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন সামারি লাগবে। 

• তারপর অনলাইন থেকে ই-পাসপোর্ট এর আবেদন কপি বের করে নিতে হবে।

• নাগরিকত্ব সনদ বা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট লাগবে।

• বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিলের কাগজের ফটোকপি লাগবে।

• পেশাগত প্রমাণ থাকতে হবে। 

• এবং সর্বশেষ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 

তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন যে যদি ১০ বছর মেয়াদী কি পাসপোর্ট করতে চান তাহলে কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগবে।

সর্বশেষ কিছু কথাঃ

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা এই পোস্টটি যদি আপনারা পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে বা কি কি কাগজপত্র লাগবে এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তো এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পোস্ট পেতে এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

Leave a comment